নির্বাচনের বছর দেশে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি: জিল্লুর রহমান
নির্বাচনের বছর দেশে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি: জিল্লুর রহমান
নির্বাচনের বছর দেশে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি, এ সময়ে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এমন মন্তব্য করেছেন।
ঢাকায় বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, মিথ্যা খবর ও গুজব প্রতিরোধে শনিবার “কনফ্রন্টিং মিসইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় সিজিএস কর্মশালাটি আয়োজন করেছে। ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক, ফ্যাক্ট-চেকার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জিল্লুর রহমান এবং কর্মশালা পরিচালনা করেন এজেন্সি ফ্রান্স প্রেস (এএফপি) এর ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদরুদ্দীন শিশির।
কদরুদ্দীন শিশির সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সত্যতা নির্ণয় বা ফ্যাক্ট চেকিং – এর বিষয়ে বিভিন্ন পদ্ধতি, উপায় ও সতর্কতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে মিসইনফরমেশ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে মিডিয়ার নীরব ভূমিকা, অনলাইন সোর্স ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা, মনোযোগ আকর্ষণকারী ঘটনার নিউজের সত্যতা নিয়ে সতর্ক থাকার গুরুত্ব, টিআরপি প্রেসার, অনলাইন সাংবাদিক ও মূলধারার সাংবাদিকদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব, ফ্যাক্ট চেকিং এর বর্তমান অবস্থা, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের তুলনামূলক অবস্থান, অপ/ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় করণীয়, ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জিল্লুর রহমান বলেন, “সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে শুরু করে বিএনপি অফিস-এ জো বাইডেনের তথাকথিত উপদেষ্টার প্রেস কনফারেন্স সহ বিভিন্ন ভুল প্রতিবেদন-এর উপর ভিত্তি করে নানা রকম ভুল সংবাদ অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়, টেলিভিশন টক শো ও হয়”। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, “নির্বাচনের বছর দেশে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি, এ সময়ে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে”। তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকদের মধ্যেও পেশাদারিত্বের ঘাটতি রয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পূর্বে প্রচারিত তথ্যের সত্যতা যাচাই বা ফ্যাক্ট চেকিং করা জরুরি। আমরা মনে করি এ কর্মশালাটি সাংবাদিকদেরকে যথাযথ পেশাদারিত্বের সাথে সংবাদ প্রচারে সহায়তা করবে”।
উল্লেখ্য, দেশে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, মিথ্যা সংবাদ ও গুজব প্রতিরোধে সিজিএস’র ধারাবাহিক কার্যক্রমের এটি দ্বিতীয় পর্ব।