হেলথ-চেকাপের মতো ফ্যাক্টচেকিং করে যেতে হবে
হেলথ-চেকাপের মতো ফ্যাক্টচেকিং করে যেতে হবে
হেলথ-চেকাপের মতো ফ্যাক্টচেকিংয়ের কাজ ক্রমাগতভাবে করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি। তিনি বলেছেন, যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির প্রভাব তত বাড়ছে, সাংবাদিকদের কাজ আরও কঠিন হচ্ছে।
রোববার রাজধানীতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ইএমকে সেন্টার আয়োজিত ‘দ্য ওয়ার এগেইনস্ট মিসইনফরমেশন কন্টিনিউজ : সিএমআইবি র্যাপ আপ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্টিফেন ইবেলি বলেন, ফেক নিউজ আর ভুয়া তথ্যের প্রচার নিউ মিডিয়া প্রসারের সঙ্গে বাড়তেই থাকবে, কমবে না। তিনি বলেন, ভুয়া তথ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে জাতীয় পাঠ্যক্রমের সঙ্গে এ বিষয়টি সংযুক্ত করা যেতে পারে, যেভাবে ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং নরওয়েতে’ করা হচ্ছে। যাতে করে পরের প্রজন্মকে ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে শিক্ষিত করে তোলা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সহযোগিতায় সিজিএস ভুল তথ্যের প্রক্রিয়া এবং ভুল তথ্য মোকাবিলার চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে এক বছরে ‘বাংলাদেশে ভুল তথ্য মোকাবিলা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১৪টি সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছে।
রোববার এ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে সিজিএস’র নির্বাহী পরিচালক জিল্লার রহমান বলেন, এই ভুয়া তথ্য নিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও হয়তো নতুন কোনো ভুয়া তথ্যের প্রচার হবে। তিনি প্রকল্প বিষয়ে বলেন, সিজিএস মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই এনগেজমেন্ট ইনোভেশন ফান্ডের অর্থায়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি বিস্তৃত ফ্যাক্টচেকিং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করে পাঁচটি বড় শহরে কর্মশালা পরিচালনা করেছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক, ফ্যাক্টচেকার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা অংশগ্রহণ করেন।
News Courtesy: