ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে
ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে
ভুল তথ্য বা অপপ্রচার রোধে নিয়মিত তথ্যের উৎস ও সত্যতা যাচাই করে যেতে হবে। অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমও ভুল তথ্য ছড়ায়। সেজন্য ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যালামনাই অ্যাঙ্গেজমেন্ট ইনোভেশন ফান্ড ২০২২-এর অর্থায়নে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভুল তথ্যের প্রক্রিয়া এবং ভুল তথ্য মোকাবেলার চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে ‘বাংলাদেশে ভুল তথ্য মোকাবেলা (সিএমআইবি)’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করে সিজিএস। প্রকল্পের আওতায় এক বছরে সারা দেশে ১৪টি সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছে সিজিএস। গতকাল রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে ‘দ্য ওয়ার অ্যাগেইনস্ট মিসইনফরমেশন কন্টিনিউস: সিএমআইবি র্যাপ আপ’ শিরোনামে এ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির প্রভাব বাড়ছে, সাংবাদিকদের কাজ আরো কঠিন হচ্ছে। ফেক নিউজ আর ভুয়া তথ্যের প্রচার নিউ মিডিয়া প্রসারের সঙ্গে বাড়তেই থাকবে, কমবে না। ভুয়া তথ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে জাতীয় পাঠ্যক্রমের সঙ্গে এ বিষয়টি সংযুক্ত করা যেতে পারে, যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়েতে করা হচ্ছে। যাতে পরবর্তী প্রজন্মকে ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে শিক্ষিত করা যায়।’
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ভুল তথ্য ও অপপ্রচার সরকার যেমন ছড়ায়, বিরোধী দলও ছড়ায়। ধর্মীয় গ্রুপগুলোও ছড়ায়। কমিউনিস্টরা বা তথাকথিত বামপন্থীরাও ছড়াচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, মূলধারার গণমাধ্যমগুলোও ভুল তথ্য ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতার একটা বড় সমস্যা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের মালিকানা। সাংবাদিকরা যতই পেশাদার হোন না কেন, তাদের পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব নয়। কারণ মালিকানা একটি বড় সমস্যা। দ্বিতীয়ত, অধিকাংশ সম্পাদকই হলেন মালিক এবং তাদের অনেকেই পেশাদার সাংবাদিক নন। তৃতীয় সমস্যা হলো, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের রাজনীতিকরণ। আমাদের সাংবাদিক সংগঠনগুলো দুই ভাগে বিভক্ত। আওয়ামীপন্থী ও বিএনপিপন্থী। এটি আরেকটি বড় সমস্যা।’
News Courtesy: