ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে: সিজিএস
ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে: সিজিএস
ফেক নিউজ আর ভুল তথ্যের প্রচার নিউ মিডিয়া প্রসারের সঙ্গে বাড়তেই থাকবে। তাই এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় পাঠ্যক্রমে বিষয়টি যুক্ত করা যেতে পারে। এভাবে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘দ্য ওয়ার এগেই্নস্ট মিস ইনফরমেশন কন্টিনিউস: সিএমআইবি র্যাপ আপ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেছেন। গতকাল ঢাকার গুলশানের ইএমকে সেন্টারে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সহযোগিতায় সিজিএস ভুল তথ্যের প্রক্রিয়া এবং ভুল তথ্য মোকাবিলার চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে গত এক বছরে ‘বাংলাদেশে ভুল তথ্য মোকাবিলা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এক বছরব্যাপী সারা দেশে ১৪টি সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি। তিনি তার বক্তব্য বলেছেন, যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির প্রভাব বাড়ছে, সাংবাদিকদের কাজ আরও কঠিন হচ্ছে। ফেক নিউজ আর ভুয়া তথ্যের প্রচার নিউ মিডিয়া প্রসারের সঙ্গে বাড়তেই থাকবে, কমবে না। তাই হেলথ-চেকাপের মতো ফ্যাক্ট চেকিং এর কাজ ক্রমাগতভাবে করে যেতে হবে।
স্টিফেন বলেন, ভুয়া তথ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে জাতীয় পাঠ্যক্রমের সঙ্গে এ বিষয়টি সংযুক্ত করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এবং নরওয়েতে এটা করা হচ্ছে। যাতে করে পরের প্রজন্মকে ফ্যাক্ট চেকিং নিয়ে শিক্ষিত করা যায়।
প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, সিজিএস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই এনগেজমেন্ট ইনোভেশন ফান্ডের অর্থায়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি বিস্তৃত ফ্যাক্ট-চেকিং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করে। পাঁচটি বড় শহরে কর্মশালা পরিচালনা করে। প্রকল্পটি ভুল তথ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামূলক ভিডিও বক্তৃতা এবং টিভি টকশোও পরিচালনা করেছে। অনুষ্ঠানে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক, ফ্যাক্ট-চেকার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে দেশে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, মিথ্যা সংবাদ ও গুজব প্রতিরোধে সিজিএস’র ধারাবাহিক কার্যক্রমের এই সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকগণ।
প্রসঙ্গত, সিজিএস হলো বাংলাদেশের একটি বেরসকারি প্রতিষ্ঠান। যা সুশাসন, দুর্নীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা ও গণমাধ্যম গবেষণা পরিচালনা করে। দ্রুত পরিবর্তনশীল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে খাপ খাইয়ে নেয়ার প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার উদ্দেশ্য হলো- শাসন ব্যবস্থার মান উন্নয়ন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সহজলভ্য সম্পদের কার্যকরী ও দূরদর্শী ব্যবহারের শর্তসমূহ উন্নত করা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, এবং গণতন্ত্রায়ণ, অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা অর্জন করার লক্ষ্যে একাডেমিক সম্প্রদায়, সরকার, বেসরকারি খাত এবং উন্নয়ন অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা সুবিধা সহজতর করা।
News Courtesy:
https://mzamin.com/news.php?news=106583