‘ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে’
‘ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে’
ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে জাতীয় পাঠ্যক্রমে ফ্যাক্টচেকিং যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের জনসংযোগ কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি। তিনি বলেছেন, ফেক নিউজ আর ভুল তথ্যের প্রচার নিউ মিডিয়া প্রসারের সঙ্গে বাড়তেই থাকবে, কমবে না। যেভাবে “যুক্তরাষ্ট্র এবং নরওয়েতে” করা হচ্ছে, সেভাবে পাঠ্যক্রমে ফ্যাক্টচেকিং যুক্ত করে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে।
আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমণ্ডির ইমএমকে সেন্টারে ‘দ্য ওয়ার এগেইনস্ট মিস ইনফরমেশন কন্টিনিউস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলে।
অনুষ্ঠানটির আয়োজক সুশাসন, দুর্নীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ।
স্টিফেন ইবেলি বলেন, ‘ভুল তথ্য ভয়াবহ, এর কারণে সহিংসতা বাড়ে। নিউজ প্রকাশের আগে তথ্য বার বার চেক করতে হবে। তথ্যের সোর্স যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়।
হেলথ-চেকাপের মত ফ্যাক্টচেকিং এর কাজ ক্রমাগতভাবে করে যেতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সহযোগিতায় সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ভুল তথ্যের প্রক্রিয়া এবং ভুল তথ্য মোকাবেলার চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে গত এক বছরে ‘বাংলাদেশে ভুল তথ্য মোকাবেলা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এক বছরব্যাপী সারা দেশে ১৪টি সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছে। প্রকল্পটির সমাপনী উপলক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ভুয়া তথ্য নিয়ে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও হয়তো নতুন কোনো ভুয়া তথ্যের প্রচার হবে।
’
সিজিএস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই এনগেজমেন্ট ইনোভেশন ফান্ডের অর্থায়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি বিস্তৃত ফ্যাক্ট-চেকিং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করে এবং পাঁচটি বড় শহরে কর্মশালা পরিচালনা করে। প্রকল্পটি ভুল তথ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামূলক ভিডিও বক্তৃতা এবং টিভি টকশোও পরিচালনা করেছে। অনুষ্ঠানে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক, ফ্যাক্ট-চেকার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা অংশগ্রহণ করেন।
News Courtesy:
https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/04/21/1381077