গুজব রোধে সিলেটে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে সিজিএস’র কর্মশালা
গুজব রোধে সিলেটে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে সিজিএস’র কর্মশালা
দেশে বিভ্রান্তিমুলক তথ্য, মিথ্যা খবর ও গুজব প্রতিরোধে সিলেটে ‘কনফ্রন্টিং মিসইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সিলেট নগরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) কর্মশালাটি আয়োজন করেছে।
কর্মশালায় সিলেটে কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, ফ্যাক্ট-চেকার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সিজিএস’র নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং কর্মশালা পরিচালনা করেন এজেন্সি ফ্রান্স প্রেস (এএফপি)’র ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদরুদ্দীন শিশির।
কর্মশালায় কদরুদ্দীন শিশির সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সত্যতা নির্ণয় বা ফ্যাক্ট চেকিং – এর বিষয়ে বিভিন্ন পদ্ধতি, উপায় ও সতর্কতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষন প্রদান করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক ভুল তথ্য, ধর্মীয় ভুল তথ্যের প্রকৃতি, ফ্যাক্টচেকিং এর বর্তমান অবস্থা, নির্বাচনে অপ/ভুয়া তথ্যের ঝুঁকি, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের তুলনামূলক অবস্থান, অপ/ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় করণীয়, ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের বছর দেশে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি, এ সময়ে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে মালিকপক্ষের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব লক্ষণীয় এবং অনেক সময় বিভিন্ন সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের উপর চাপ দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যেও পেশাদারিত্বের ঘাটতি রয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পূর্বে প্রচারিত তথ্যের সত্যতা যাচাই বা ফ্যাক্ট চেকিং করা জরুরী। আমরা মনে করি এ কর্মশালাটি সাংবাদিকদেরকে যথাযথ পেশাদারিত্বের সাথে সংবাদ প্রচারে সহায়তা করবে।’
দেশে বিভ্রান্তিমুলক তথ্য, মিথ্যা সংবাদ ও গুজব প্রতিরোধে সিজিএস’র ধারাবাহিক কার্যক্রমের এটি দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্বে সিজিএস সারা দেশের ৫টি বিভাগীয় শহরে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে ৭টি সংলাপ আয়োজন করেছে।
প্রসঙ্গত, সিজিএস হলো বাংলাদেশের একটি থিংক ট্যাংক যা সুশাসন, দুর্নীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা ও গণমাধ্যম গবেষণা পরিচালনা করে। দ্রুত পরিবর্তনশীল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কেন্দ্রের উদ্দেশ্য হলো শাসন ব্যবস্থার মান উন্নয়ন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে সহজলভ্য সম্পদের কার্যকরী ও দূরদর্শী ব্যবহারের শর্তসমূহ উন্নত করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, এবং গণতন্ত্রায়ন, অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা অর্জন করার লক্ষ্যে একাডেমিক সম্প্রদায়, সরকার, বেসরকারি খাত এবং উন্নয়ন অংশীদার প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সহযোগিতা সুবিধা সহজতর করা।